জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে দেশের ২০ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে। সিলেট ও বরিশাল অঞ্চলে এ হার সবচেয়ে বেশি, ২৪ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে প্রয়োজনের চেয়ে কম খাদ্য গ্রহণ করছে দেশের ৩০ শতাংশ জনগোষ্ঠী।
দেশের আট বিভাগের ১ হাজার ২০০ জনের ওপর পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে জাতিসংঘ বলছে, সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষি ও অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। প্রয়োজনীয় পরিমানে খাদ্য সংস্থান করতে পারছে না জনগোষ্ঠীর ৩০ শতাংশ। আর নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৩৬ শতাংশ।
খাদ্য ব্যয় সংকোচন করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন দেশের ২৯ শতাংশ মানুষ।
জাতিসংঘের জরিপ বলছে, খাদ্য কেনার জন্য ৪২ শতাংশ মানুষকে বিভিন্ন সময়ে ঋণ করতে হচ্ছে। আর খাবার কেনার খরচ মেটাতে গিয়ে স্বাস্থ্যব্যয় কমিয়েছেন ২৬ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া ১৭ শতাংশ বাধ্য হচ্ছেন সঞ্চয় ভাঙতে। নানা ধরনের সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ১৫ শতাংশ মানুষকে।
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ধারাবাহিকতায় দেশে অপুষ্টি ও রোগব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ফলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। আর এসব মানুষের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি।
Author
-
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' একটি নির্ভরযোগ্য শেয়ার বাজার ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল। অর্থ ও বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রকাশ করে।
View all posts
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' শেয়ার মার্কেটের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সততার সহিত পরিবেশন করে এবং কোন সময় অতিরঞ্জিত, ভুল তথ্য প্রকাশ করেনা এবং গুজব ছড়ায়না, বরং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বদ্ধ পরিকর। এটি একটি স্বাধীন, নির্দলীয় এবং অলাভজনক প্রকাশনা মাধ্যম।