জর্ডানের নাগরিক গালফ এয়ারের পাইলট ইউসুফ হাসান আল হিন্দি’র মৃত্যু ভুল চিকিৎসায় হয়েছে, অভিযোগ করে ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কনসালটেন অব দা ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন অ্যান্ড ইমাজেন্সি মেডিসিন প্রফেসার ডাঃ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর গালফ এয়ারের ফ্লাইট নিয়ে ঢাকার শাহজালাল বিমানববন্দর থেকে উড়াল দেওয়ার আগে ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়েছিল ইউসুফের। ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
ভাইয়ের মৃত্যুর দেড় মাস পর বাংলাদেশে এসে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তোলেন জোসেফানা। তখনই তিনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন।
আজ মঙ্গলবার ১৪ই মার্চ ২০২৩, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে এ মামলা করেন নিহত পাইলটের বোন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তালা এলহেনডি জোসেফানো। আদালত বাদীর জবানবন্দি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী সাব্বির আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গালফ এয়ারের পাইলট ফ্লাইট মোহান্নাদ ইউসুফ হাসান আল হিন্দি বাংলাদেশে আসার পর অসুস্থ হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় তিনি মারা যান। পরদিন ১ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। তাই আমরা আজ আদালতে মামলা করেছি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সকালে ওই পাইলট গালফ এয়ারের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দর থেকে পরিচালনার দায়িত্ব পান। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া শুরু হইলে তিনি শারিরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন। পরে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ মোঃ ওমর ফারুক এবং তার সঙ্গে থাকা ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সরা তার চিকিৎসায় কালক্ষেপণ করতে থাকে। ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর পরে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত তাকে কোনও প্রকার চিকিৎসা প্রদান করা হয়নি। এর ফলে তিনি মারা যান।