এবার দেশের আরও দুটি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (লিড) স্বীকৃতি পেয়েছে। যাদের নিয়ে দেশে মোট পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩৫টিতে।
নতুন স্বীকৃতি পাওয়া কারখানা দুটি হলো, গাজীপুরের টিএম জিন্স লিমিটেড এবং ঢাকার দক্ষিণ খানের আজমেরি কম্পোজিট নিট লিমিটেড।
চলতি বছরের প্রথম ২৫ দিনে বাংলাদেশের মোট তিনটি পোশাক কারখানা গুরুত্বপূর্ণ এই সনদ পেল। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি স্বীকৃতি পায় গাজীপুরের কনসিস্ট অ্যাপারেলস লিমিটেড। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এই সনদ দিয়ে থাকে।
তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, টিএম জিন্স লিমিটেড ৮১ নম্বর পেয়ে প্লাটিনাম সনদ এবং আজমেরি কম্পোজিট নিট লিমিটেড ৬৩ নম্বর পেয়ে গোল্ড সনদ পেয়েছে।
দেশের ২৩৫টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে প্লাটিনাম সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা ৯৪, গোল্ড সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা ১২৭, সিলভার সনদ পাওয়া কারখানা ১০ ও সার্টিফায়েড সনদ পাওয়া কারখানা চারটি।
২০২৪ সালে মোট ২৬টি কারখানা পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০২৩ সালে ২৪টি এবং ২০২২ সালে ৩০টি কারখানা এই স্বীকৃতি পেয়েছিল। ইউএসজিবিসি থেকে পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে কয়েকটি শর্ত পরিপালন করতে হয়।
মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়। সনদ পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়। ভবন নির্মাণ শেষ হলে কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করেও আবেদন করা যায়।
Author
-
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' একটি নির্ভরযোগ্য শেয়ার বাজার ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল। অর্থ ও বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রকাশ করে।
View all posts
'ঢাকা শেয়ার বাজার ডট কম' শেয়ার মার্কেটের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সততার সহিত পরিবেশন করে এবং কোন সময় অতিরঞ্জিত, ভুল তথ্য প্রকাশ করেনা এবং গুজব ছড়ায়না, বরং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বদ্ধ পরিকর। এটি একটি স্বাধীন, নির্দলীয় এবং অলাভজনক প্রকাশনা মাধ্যম।